জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের কথিত জমিদার ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় গোপালগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচার মো. রুবেল শেখ এ গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারি (পেশকার) সুমন আহমেদ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য ও উলপুরের কথিত জমিদার মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী (পপা) জমি বিক্রির কথা বলে গোপালগঞ্জ শহরের জনতা রোডের বাসিন্দা মো. আবু তালেব শেখের ছেলে মোজাহিদুল ইসলামের থেকে ৭০ লাখ টাকা নেন। দীর্ঘদিন জমি রেজিষ্ট্রেশন করে না দিয়ে নানা তালবাহানা করেন। মোজাহিদুল ইসলাম টাকা ফেরত চাইলে তাকে ১০ লাখ টাকার ৭টি ব্যাংক চেক দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে নিতে বলেন।
গত ৩ জুলাই মোজাহিদুল ইসলাম মৃনাল কান্তি রায়ের নিজ ব্যাংক হিসাবে চেক জমা দিলে ওই হিসাবে টাকা নেই বলে ব্যাংক কর্মকর্তা জানান।
এ ঘটনায় ১২ জুলাই উকিল নোটিশ দেন মোজাহিদুল ইসলাম। ওই উকিল নোটিশে টাকা ফেরত না দেওয়ায় ২১ আগস্ট মোজাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর (গোপাল. সি. আর- ১৮৮৭/২৩)। আজ (২৬ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজির কথা ছিল। নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা আদেশ দেন।
এ বিষয় মৃনাল কান্তি রায় চৌধুরী বলেন, ‘আমি পৌরসভার নির্বাচনের আগে মোজাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা নিয়েছিলাম। এর থেকে ২০ লাখ ফেরত দিয়েছি। আমি সমস্যায় ছিলাম, তাই সম্পূর্ণ টাকা ফেতর দিতে পারিনি। বাকি টাকা দিয়ে দেব।’